এইমাত্র
  • আজ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ২ কোটি ২২ লাখ শিশু
  • নারী আইপিএলের ফাইনালসহ টিভিতে আজকের খেলা
  • তৃতীয় দিনের সফরে জাতিসংঘ মহাসচিবের যত কর্মসূচি
  • গাজীপুরে কালিয়াকৈরে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
  • কালিয়াকৈরে চিকিৎসককে ‘ভাই’ সম্বোধন করায় হেনস্থার অভিযোগ
  • ঈদগাঁওয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ১,আহত ৩
  • বাংলাদেশের পাসপোর্টে কেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জরুরি
  • রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমে যাওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ
  • চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত
  • ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা
  • আজ শনিবার, ১ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৫ মার্চ, ২০২৫

    বাল্কহেড

    ২০ দিন বন্ধ থাকবে বাল্কহেড চলাচল, নৌ-রুটে চলবে বিশেষ টহল

    আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ১৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দিন-রাত দেশের নৌরুটগুলোতে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বাল্কহেড চলাচল। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, বরিশালের মেঘনা নদীসহ সব অপরাধপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ এবং নৌবাহিনীর বিশেষ টহলের ব্যবস্থাও থাকবে।


    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন এসব বিষয় জানিয়েছেন।


    নৌ পথে সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ নৌ চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রস্তুতিমূলক সভায় ২৪টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে —


    ১. ঈদ যাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। প্রত্যেক লঞ্চের নির্ধারিত স্থানে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার রেট চার্ট প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    ২. ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়ী ব্যক্তিদের শুধু জরিমানাই করা হবে না বরং  লঞ্চের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ফিটনেসবিহীন কোনো জলযান নৌপথে চলাচল করতে পারবে না।


    ৩. কোনো লঞ্চ বা ফেরি সিরিয়াল ব্রেক করে চলতে পারবে না। নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


    ৪. সদরঘাট বা অন্যান্য ইজারাযুক্ত লেবার হ্যান্ডেলিং ঘাট, পয়েন্টে লেবার, কুলি, পোর্টার যাত্রীদেরকে হয়রানি করতে পারবে না। কোনো অতিরিক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে না। প্রত্যেক অনুমোদিত পোর্টার বা কুলিকে স্ব স্ব ইজারাদারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম এবং নেইম প্লেট প্রদর্শিত থাকতে হবে। বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সংস্থাকে এ বিষয়ে তদারকি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


    ৫. নৌযাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতে চলাচলকারী লঞ্চে আনসার সদস্য নিযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাতে চলাচলকারী দূরপাল্লাগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪ জন করে আনসার সদস্য নিয়োগের জন্য মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে বা কোনো দুর্ঘটনা হলে মালিকপক্ষ দায়ী থাকবেন। আনসার সদস্যদেরও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।


    ৬. লঞ্চ বা ফেরিঘাটে কর্মরত স্টাফদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম এবং আইডি কার্ড থাকতে হবে।


    ৭. নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, বরিশালের মেঘনা নদীসহ সব অপরাধপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টহল থাকবে।


    ৮. রাতের বেলায় স্পিড বোট ১৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যন্ত দিন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি নৌবাহিনীও নৌপথের নিরাপত্তার স্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।


    ৯. ১৫ রমজান হতে ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্মুক্ত রাখতে হবে। কোনোভাবেই রাস্তার ওপরে যত্রতত্র বাস দাঁড় করে রাখা যাবে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশ বাহিনী বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করবেন। প্রয়োজনে রেকার দিয়ে অভিযুক্ত বাসগুলো সরিয়ে দিতে হবে।


    ১০. প্রত্যেক ঘাট এলাকায় যাত্রীদের জানমাল নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন যেমন - জেলা, উপজেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার কতিপয় দপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।


    ১১. যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা নদী বন্দরে নির্মিত ওয়াচ টাওয়ার হতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে।


    ১২. লঞ্চে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) এর কপি সংগ্রহ করে টিকিট প্রদানের জন্য লঞ্চ মালিক সমিতিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।


    ১৩. টার্মিনালগুলোতে সতর্কতামূলক বাণী ও নৌ বিজ্ঞপ্তি মাইকে প্রচার, ডিসপ্লে মনিটরে প্রদর্শন ও লঞ্চের টেলিভিশন মনিটরের প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং লঞ্চ মালিক সমিতি ও বাঅনৌচ (যাপ) সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


    ১৪. নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা হট লাইন নম্বর-৯৯৯ এবং যাত্রী সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর হটলাইন নম্বর-১৬১১৩ এ যোগাযোগ করবেন। সংশ্লিষ্ট নম্বর ২টি সর্বসাধারণকে অবহিত করার জন্য ব্যাপক প্রচার করতে হবে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে গঠিত বিআইডব্লিউটিএর কন্ট্রোল রুমের নম্বর, হটলাইন নম্বর এবং প্রধান কার্যালয় ও ঢাকা নদী বন্দর হতে মোট ২জন কর্মকর্তার নাম, মোবাইল নম্বর ও মেইল অ্যাড্রেস আবহাওয়া অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।


    ১৫. সদরঘাট ও লঞ্চসমূহে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন স্থাপন এবং জনগণকে ডাস্টবিন ব্যতীত নদীতে কিংবা পন্টুন বা গ্যাংওয়েতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে নিরুৎসাহিত করতে মাইকিং, লিফলেট ও প্রচারণা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে করতে হবে। এছাড়া সব ঘাটের ইজারাদারকে এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য বলা হয়েছে।


    ১৬. নৌ-পথে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও উদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য উদ্ধারকারী জলযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।


    ১৭. লঞ্চে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ঢাকা নদী বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ নদী বন্দর এলাকায় দ্রুত অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে সর্বদা তৎপর থেকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে এবং প্রয়োজনের সফল স্থানে ভাসমান নৌ ফায়ার স্টেশনে স্থাপন করা যেতে পারে।


    ১৮. ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ অনুযায়ী গণপরিবহন লঞ্চে ধূমপান নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে সতর্কতামূলক ঘোষণা প্রচার করা যেতে পারে।


    ১৯. নদীতে এলোমেলোভাবে ট্যাঙ্কার, লঞ্চ, কোস্টার বার্জ ইত্যাদি নৌযান এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।


    ২০. সদরঘাটে আগত লঞ্চগুলোতে নিয়ম অনুসরণ করে সুশৃঙ্খল বার্থিং করতে হবে। বিশৃঙ্খলাকারী লঞ্চের বিরুদ্ধে যাত্রা বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশি দেওয়া হয়েছে।


    ২১. ঢাকা নদী বন্দরের সদরঘাট হতে ফতুল্লা পর্যন্ত নৌপথে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত গতিসীমা ৬ নটিক্যাল মাইল অনুযায়ী এবং অন্যান্য পথে নিরাপদ গতিতে নৌযান পরিচালনা করতে হবে।


    ২২. ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতিটি লঞ্চে সর্বোচ্চ ২টি ১২০ ফুট হতে ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতিটি লঞ্চের সর্বোচ্চ ৪টি এবং ২০১ ফুট হতে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতিটি লঞ্চের সর্বোচ্চ ৬টি মোটরসাইকেল পারাপার করতে পারবে। মোটরসাইকেলের ওজন এবং আকৃতি বিবেচনায় ঢাকা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৩০০ টাকা এবং ঢাকা থেকে চাঁদপুরের ডাউনে প্রতিটি মোটরসাইকেল বহনের জন্য ৫০০ টাকা ভাড়া আদায় করতে পারবে।


    ২৩. কালবৈশাখি মৌসুম চলমান থাকায় নৌ চলাচলে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


    ২৪. যাত্রী সাধারণ নিরাপদ চলাচলের স্বার্থে বিআইডব্লিউটিএর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যেতে পারে।


    সভায় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন— সংস্থাটির সদস্য ড. মো. জিয়াউল ইসলাম, সদস্য (অর্থ) ক্যাপ্টেন (অব.) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল) একেএম ফজলুল হকসহ বিভাগীয় প্রধানরা। 


    এবি 

    শরীয়তপুরে পদ্মায় বাল্কহেড ডুবি, ৪০ ঘণ্টা পর দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

    শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 


    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে বেসরকারি ডুবুরি দল দুর্ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পর  মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।


    পিরোজপুরের "অনুসন্ধান অক্সিজেন বোর্ড" নামের একটি বেসরকারি ডুবুরি দলের সদস্যরা প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ১৩০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে থাকা বাল্কহেডের ক্যাবিন থেকে শ্রমিক আল-আমীন ও আরিফের মরদেহ তুলে আনেন।


    এর আগে, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল সরকারি উদ্যোগে দুই দিন ধরে ১৮ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালালেও লাশের সন্ধান পায়নি। পরে নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজন ও সহকর্মীরা নিজেদের খরচে বেসরকারি ডুবুরি দল নিয়ে এসে অভিযান চালান।


    উদ্ধারের পর নৌ পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং উপজেলা প্রশাসন মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।


    নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।


    এনআই

    ১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট-বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: সাখাওয়াত

    ১৫ রমজান থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।


    বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে  ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দেন তিনি।


    শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, নৌযানে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিলে শুধু জরিমানা নয়, সেই লঞ্চের রুট পারমিটও স্থগিত করা হবে। এছাড়াও ঈদযাত্রায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।


    তিনি বলেন, সদরঘাট এলাকায় জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত এমন বিশৃঙ্খলা থাকে যে, তিন ঘণ্টা আগে রওনা দিলেও অনেকে লঞ্চ ধরতে পারেন না। তাই রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রয়োজনে রেকার দিয়ে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হবে।


    উপদেষ্টা আরও বলেন, কোনো লঞ্চ নির্ধারিত সিরিয়ালের বাইরে ছেড়ে যেতে পারবে না। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। শুধু সদরঘাট নয়, রাস্তা থেকে যাত্রী তোলা যাবে না। এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদারকি করবে, নৌবাহিনীও সহযোগিতা করবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপ্রয়োজনে লঞ্চে চেক করে সময় নষ্ট করবে না। ফিটনেস সনদ ছাড়া কোনো লঞ্চ চলতে পারবে না ও নির্ধারিত গতিসীমার বেশি চালানো যাবে না।


    এমআর-২

    ভোলায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ

    ভোলার মেঘনা নদীতে বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) এর ধাক্কায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় মো. দুলাল মাঝি নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।


    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল নামক মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ দুলাল মাঝি শিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম মাঝির ছেলে।


    ইলিশা নৌ- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


    পুলিশ এবং নিখোঁজ জেলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মেঘনা নদী থেকে মাছ শিকার করে দুলাল মাঝি ঘাটে ফিরছিলেন। এসময় বালুবাহী একটি বাল্কহেড তার নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নৌকাটি ডুবে দুলাল মাঝি নৌকা থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।


    খবর পেয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন, ইলিশা নৌ-পুলিশ এবং ফায়ারসার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।


    এদিকে দুলাল মাঝি নিখোঁজ ঘটনায় তার পরিবার ও এলাকায় চলছে শোকের মাতম। স্বজনরা নদীর তীরে এসে আহাজারি করছেন।


    ইলিশা নৌ-থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ- পুলিশের একটি টিম উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে। পাশাপাশি ঘাতক বাল্কহেডটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। 



    এবি 

    লৌহজংয়ে ৫ অবৈধ বাল্কহেড জব্দ, আটক ৬

    মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ডহরি-তালতলা খাল থেকে নিষিদ্ধ ৫টি বাল্কহেড জব্দসহ ৬ জন শ্রমিককে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।


    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান।


    তিনি জানান, বিকেল থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৫টি অবৈধ বাল্কহেড ও ৬ জনকে আটক করেছি। তাদের মালিকপক্ষকে তলব করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকজন চলে এসেছেন। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করবো। 

    এবি 

    সুনামগঞ্জে ২৬টি বাল্কহেড বোঝাই বালু পাথর আটক

    রাতের আঁধারে ইজারা‌বিহীন চলতি নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু ও পাথর বোঝাই ২৬টি বাল্কহেড নৌপথে পাচার করার সময় আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে গ্রামবাসী। আটকের খবর পেয়ে এসব জব্দ করে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।

    রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায়। আটককৃত বালু-পাথরের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে পারলেও গ্রামবাসীর চোখে ফাঁকি দিতে পারেনি সংঘবদ্ধ বালুখেখু চক্র । রাতে চলতি নদী থেকে বালু ও পাথর বোঝাই করার পর নদী ও হাওর প‌থে দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে নি‌য়ে যাওয়ার সময় জেলার সদর উপ‌জেলার নয়াগাঁও, অমিতাশ্রী, হোসেনপুর, মনমতেরপুরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন তাদের আটক করে। আটককৃত ২৬টি বাল্কহেডে পরে প্রশাসনকে খবর দিলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও উপজেলা তহশিলদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বাল্কহেড গুলো জব্দ করে।

    গ্রামবাসী জানান, নদীতে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার পরও প্রতিদিন অবৈধ ড্রেজার মেশিনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকা পয়সা দিয়েই বালু পাথর উত্তোলন করে। পরে শত শত নৌকায় বালু পাথর তুলে তাদের গ্রামের পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী তাদের ঘর বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘর বাড়ি রক্ষা করতেই বাধ্য হয়ে নৌকা গুলো তারা আটক করেছেন। 

    সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক পার্ডন সিংহ বলেন, গ্রামবাসী ২৬টি নৌকা আটকের পর আমাদের খবর দিলে আমরা বালু পাথরের বৈধতা না পাওয়ায় ২৬টি নৌকা জব্ধ করি।

    সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নান বলেন,ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের লোকজন নৌকা গুলো আটক করেছে। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অনিয়ম কে ছাড় দেয়া হবে না। 

    এইচএ


    Loading…